Born 17 August 1932
Died 15 August 2020 (aged 87)
Resting place Banani Graveyard

Murtaja Baseer was a Bangladeshi painter and artist known for his abstract realism themed works. He was also a poet, author, researcher, numismatist, and filmmaker. He was awarded the Ekushey Padak, Bangladesh’s second highest civilian honor, in 1980, and the Swadhinata Padak, or Independence Day Award, Bangladesh’s highest state award, in 2019.

বাবার যত কথা : পর্ব ৬ – মুনিজা বশীর

আব্বুর শখের কমতি ছিল না। বিখ্যাত ব্যাক্তিদের অটোগ্রাফ, পুরাতন মুদ্রা, কারেন্সি নোট,স্ট্যাম্প, দেয়াশলাইয়ের বক্স এর দুর্লভ কালেকশন আছে আব্বুর। পরিচিত জনেরা দেশের বাইরে গেলেই বলতেন তাঁর জন্য সেই দেশের মুদ্রা, কারেন্সি নোট নিয়ে আসার জন্য। আব্বুর দেখাদেখি আমার মধ্যেও অটোগ্রাফ কালেকশনের প্রবণতা দেখা দেয়, সেই সাথে দেয়াশলাইয়ের কাঠি জমানোর নেশা পেয়ে বসে। আব্বু আমাকে আমাদের দেশ বিদেশের বরেণ্য শিল্পী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অটোগ্রাফ এনে দিয়েছিলেন।আমার অটোগ্রাফ বুকগুলি আজো আমি যক্ষের ধনের মত আগলে রেখেছি।।আব্বুর বাগানের শখ ছিল। যখন চিটাগং এ ছিলেন, তখন আমি আর আব্বু খুব ভোরে চলে যেতাম বৈশাখী মেলায়। ওখান থেকে গাছ, টব, পাতা বাহার, ফুল গাছ কিনতাম। গাছের পরিচর্যা আব্বু নিজেই করতেন। ঢাকার বাসাতেও আব্বু বেডরুমের লাগোয়া বারান্দায় পাতাবাহার রেখেছিলেন। প্রতিদিন সকালে উনি কিছুক্ষনের জন্য কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়া বারান্দায় বসতেন।ভীষন রকমের আত্ম নির্ভরশীল ছিলেন তিনি।আমার মনে পড়ে ছোটকালে আমরা যখন রমজানের লম্বা ছুটিতে ঢাকা যেতাম, তখন কখনই আম্মাকে দেখিনি আব্বুর জন্য রান্না করে রেখে যেতে। তিনি নিজেই রান্না করে খেয়ে নিতেন। আমি ঢাকায় গেলে আমার জন্য হাসঁ রান্না করতেন, বেগুন দিয়ে মাছ রান্না করতেন। আব্বুর রান্নার হাত ছিল চমৎকার।ফ্লোরন্সে পড়ালেখার সুবাদে ইটালিয়ান পাস্তা, স্প্যাগেটি দারুন রান্না করতেন আর আমাকে বলতেন, কি বাঙালী স্টাইলে স্প্যাগেটি রাধিঁস, কিছুই হয়না।। নিজে বাজার করতেন, কোনটার সাথে কোনটা খেতে ভাল লাগবে সেভাবে চিন্তা করে বাজার করতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উনি ওনার নিজের ঔষধ নিজেই গুছিয়েছেন।কখন, কোন ঔষধ খেতে হবে, ডোজ কি ওনার সব মুখস্থ ছিল।প্রতি দিন ঔষধের ছোট বক্সে উনি সারাদিনের ঔষধ গুছিয়ে রাখতেন।প্রতিবেলার ঔষধ উনি সময় করে খেতেন।