Born 17 August 1932
Died 15 August 2020 (aged 87)
Resting place Banani Graveyard

Murtaja Baseer was a Bangladeshi painter and artist known for his abstract realism themed works. He was also a poet, author, researcher, numismatist, and filmmaker. He was awarded the Ekushey Padak, Bangladesh’s second highest civilian honor, in 1980, and the Swadhinata Padak, or Independence Day Award, Bangladesh’s highest state award, in 2019.

বাবার যত কথা : পর্ব ৫ – মুনিজা বশীর

তিনি ছিলেন স্পষ্টভাষী।অপ্রিয় সত্যি কথাটা বলতেও কখনও উনাকে ইতস্তত করতে দেখিনি। সেটা যেই হোক,পছন্দ হয়নি, বলে ফেলবেন। এ অভ্যাসটা একসময় আমার মধ্যেও প্রবলভাবে ছিল, আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলেছি। চিন্তা করে দেখেছি, উনি তো উনিই, উনাকে যা সাজে, আমাকে তা সাজে না।আব্বু আমাকে শিখিয়েছেন কাজের প্রতি একাগ্রতা, সততা, নিষ্ঠা।প্রচন্ড নীতিবান ছিলেন অনৈতিক কোন ব্যাপারে কখনও আপোষ করেননি। প্রখর ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন আব্বুর সামনে সবাইকে ম্লান লাগতো। আমাদের আব্বু শিখিয়েছেন সৎ ভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে, এক আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত না করতে। তিনি বলতেন, তোমার যা কিছু চাওয়ার আল্লাহর কাছে চাও, তিনিই পারেন তোমাকে সব কিছু দিতে। আব্বুর ঈমানের জোর দেখে মাঝে মাঝে আমরা অবাক হয়ে যেতাম। আব্বু আমাকে ছোট একটা নোট বুকে সকাল সন্ধ্যা কি কি দোয়া পড়তে হবে, তা নিজের হাতে লিখে দিয়েছিলেন এবং সব সময় আমাকে জিজ্ঞেস করতেন দোয়াগুলি পড়ি কিনা। আব্বুর কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা আমার জীবনের অমূল্য সম্পদ। বিখ্যাত বাবার মত হয়তো আমি বিখ্যাত নই, কিন্তু আমার অন্তরে আমি ধারণ করে আছি তাঁর আদর্শ।ব্যক্তিগত জীবনে আব্বু খুব সাধারন জীবন যাপনে অভ্যস্থ ছিলেন। খুব সাধারণ খেতেন, সাধারণ ভাবে চলতে পছন্দ করতেন, তবে যথেষ্ট পরিমাণে ফ্যাশন সচেতন ছিলেন। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শার্টের ডিজাইন, প্যান্টের ডিজাইনে পরিবর্তন এনেছেন। বয়স যা’ই হোক না কেন, মনটা ছিল তাঁর রঙীন, চির যুবা। খুব কালারফুল পোষাক পছন্দ করতেন। আমি যখনই দেশের বাইরে ব্যাংকক বা মালেয়শিয়া গিয়েছি, তিনি আমাকে সে দেশের রঙচঙে লুঙ্গী নিয়ে আসতে বলতেন, সেগুলি দিয়ে তিনি শার্ট বানিয়ে পড়তেন।তিনি আমাদের পোষাকের ডিজাইনও করেছেন অনেক সময়। আব্বু নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন।আনুষ্ঠানিকতা এড়িয়ে চলতেন। ফিতা কাটা জনপ্রিয়তা একেবারেই পছন্দ করতেন না। তিনি ছিলেন আমাদের বন্ধুর মত।পরিবারকে প্রচন্ড ভালবাসতেন। আত্মকেন্দ্রিক, প্রচারবিমুখ আব্বু সব সময় তাঁর পরিবারকে সময় দিয়েছেন শতভাগ।